ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ একদিনে ৫৪ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে

ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ একদিনে ৫৪ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে

ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ একদিনে ৫৪ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে

Blog Article










[caption id="attachment_1084" align="aligncenter" width="300"]ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ একদিনে ৫৪ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে। ৫৪ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার। ছবি : সংগৃহীত[/caption]













ভারতে একদিনে পৃথক সীমান্ত এলাকা থেকে ৫৪ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্যের পুলিশ ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এটি পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। গ্রেপ্তারকৃতদের সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় ধরা হয়। যদিও তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, তারা বিভিন্ন সময় ভারতে কাজের সন্ধানে এসেছিলেন।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তথ্যানুসারে, মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে ওসি মহম্মদ খুরশিদ আলমের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মুর্শিদাবাদ জেলায় একটি গোপন অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানের সময় রানিতলা থানার নশিপুর গ্রাম থেকে ৪১ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। ধৃতদের মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে উপস্থাপন করা হয়, যেখানে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে চায়। বিচারক তাদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের আদেশ দিয়েছেন।

অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার ভোমরা ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে সরুপনগর এলাকা থেকে বিএসএফ ১৩ জন বাংলাদেশিকে আটক করে। বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, তারা বিথারী তাড়ালী ও কৈজুরী বিওপি এলাকায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। আটককৃতদের মধ্যে ৭ শিশু, ৪ নারী এবং ২ পুরুষ রয়েছে, যারা সাতক্ষীরার বাসিন্দা। তাদের বসিরহাট আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



















উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনা নতুন নয়, তবে একদিনে এত বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের ঘটনা বিরল। নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে এবং সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে আসা বা যাওয়ার প্রচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হচ্ছে।

এ ধরনের অনুপ্রবেশের পেছনে সাধারণত কাজের সন্ধান, দারিদ্র্য এবং ভালো জীবিকার প্রত্যাশা কাজ করে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কোনো অপরাধমূলক কার্যকলাপ বা বৃহত্তর নেটওয়ার্ক জড়িত আছে কি না, তা নিয়েও তদন্ত চলছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে আরও সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে, যাতে সীমান্তের নিরাপত্তা এবং শান্তি বজায় রাখা যায়।

বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সীমান্ত সম্পর্কিত বিষয়গুলো প্রায়ই দুই দেশের রাজনৈতিক আলোচনায় গুরুত্ব পায়, এবং এই ধরনের ঘটনার পর বিষয়টি আরও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।











Report this page